চিকিৎসাক্ষেত্রে
বাঙ্গালীর বিদেশপ্রীতি দেখে প্রথমদিকে খানিকটা বিরক্তই হতাম। এখন একটু
হতাশাগ্রস্ত হই। এদেশের মানুষের মুক্ত চিন্তাভাবনার অভাব দেখে। রবি ঠাকুরের
কবিতা, “বহুদিন ধরে, বহু ক্রোশ দূরে, বহু ব্যায় করি, বহু দেশ ঘুরে,
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু, দেখা হয় নাই চক্ষু
মেলিয়া, ঘর হইতে শুধু দু'পা ফেলিয়া, একটা ধানের শীষের উপর, একটি শিশির
বিন্দু!” বিদেশথেকে আগত রোগীদের চিকিৎসার বর্ণনা এবং প্রেসক্রিপশনগুলো
প্রায়শই এই কবিতাটাই মনে করিয়ে দেয়।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ছোটখাট কিছু উদাহরণ…
১) ২০ বছর বয়সী এক প্রবাসী যুবক দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় হটাৎ পেটে ব্যাথা নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হবার পরে দিন দুয়েক পর তার রোগ ডায়গ্নোসিস করা হল ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিস। রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হল, ইনসুলিন দিয়ে। রোগী কিছুটা স্টেবল হওয়ার পর তাকে দ্রুত জানানো হল যে এই রোগের চিকিৎসার খরচ অনেক, দেশে ফিরে গিয়ে চিকিৎসা করালেই ভালো হবে। রোগী দেশে ফিরত আসলো, বাসায় আসার পথেই অর্ধসুস্থ রোগী আবার অনিয়মিত ইনসুলিনের কারনে আবার অসুস্থ হয়ে ডায়বেটিক হাসপাতালে ভর্তি হল। নিজের আগ্রহেই খোঁজ নিলাম, কেমন সেখানের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সহজসরল ছেলেটার কথায় যা বুঝতে পারলাম, ঐখানে রোগীদের জন্য ডাক্তারের ভাগ আছে। এদেশের রোগীদের জন্য ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এসব দেশের ডাক্তার নির্ধারিত। চিকিৎসাখাতের ব্যয়ভারবহনের গ্যারান্টি না থাকলে বুঝিয়ে শুনিয়ে রোগীকে দেশে ফিরত পাঠানো হয়। ব্যবস্থাপত্রটাও খেয়াল করলাম। রেকর্ডকিপিং এর দিক থেকে সেটাকে দশে দশ দিতে পারলেও ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে আধুনিকগাইড লাইনের কোন কিছুই ফলো করা হয়নি। ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিসের মতো মেডিকেল ইমারজেন্সিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ইনসুলিন ৩০/৭০ (শর্ট একটিং + ইন্টারমিডিয়েট একটিং ইনসুলিনের মিক্সচার) দিয়ে। ডিসচার্জের কন্ডিসনে পেসেন্টকে দেখানো হয়েছে স্টেবল। আবার পেসেন্টকে দুটো ইনসুলিন হাতে ধরিয়ে দিয়ে মুখে বলা হয়েছে খরচ বেশী দেখে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে। আমাদের গরীব দেশেও ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিসের ট্রিটমেন্টের জন্য ইনসুলিন – আর (শর্ট এক্টিং ইনসুলিন) ব্যবহার করা হয়, যার দাম পড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। বিদেশে যদি এই চিকিৎসার জন্যই খরচ বেশী হবে বলে দেশে পেসেন্টকে পাঠিয়ে দেয়া হয়, তখন স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞবোধ করি যে মেডিকেল লাইনের ভালোমন্দ, সত্যমিথ্যে বোঝার মতো ক্ষমতাটা কিছুটা হলেও অন্তত তিনি দিয়েছেন।
২) ক্রনিক কিডনি ডিজিসের এক রোগী এসে ডাক্তাররুমে খোঁজ নিচ্ছেন ডায়ালাইসিসের খরচ কেমন পড়বে। বেশ সামান্য অঙ্কের দাম শুনে একটু ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন মেশিন ভালো কাজ করে কিনা। এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে একটু বিপাকে পড়লাম। বললাম সবার জন্যতো ভালোই কাজ করে, আপনারও হয়ে যাবে আশা করি। রোগীর সাথে আসা পাশেই দাঁড়ানো আরেক বিজ্ঞ ভদ্রলোক মাঝখান থেকে কথা বলা শুরু করলেন, “আরে আমিতো দেড়লাখ টাকা খরচ করে ইন্ডিয়া থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসলাম, ঐ চিকিৎসার সাথে এখানের চিকিৎসার তুলনা হবে নাকি আবার!” একটু বিরক্ত হয়েই জিজ্ঞেস করলাম কি চিকিৎসা দিলো। ভদ্রলোকের উত্তরে যা বুঝতে পারলাম, সেরাম ক্রিয়েটিনিন ২.৫ মিগ্রা/ডেলি এর কাছাকাছি থাকায় ইন্ডিয়ার কোন এক হাসপাতালে গিয়ে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অনেক পরীক্ষা করিয়ে তিনি খুব ভালো চিকিৎসা পেয়েছেন। ডাক্তার তাকে উপদেশ দিয়েছেন পাতে অতিরিক্ত লবন না খেতে, মাছমাংস কম পরিমানে খেতে, প্রতিদিন ১.৫লিটারের বেশী পানি না পান করতে আর প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে। এতে তিনি খুব উপকার পেয়েছেন। অবাক হলাম, হায়রে মানুষ। এই উপদেশগুলোর মূল্য দেড়লাখ টাকা! বিদায় জানানোর সময় রোগীকে বললাম ইন্ডিয়ার ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো খুবই ভালো হবে। ভদ্রলোক আবারো একটু সন্দেহের চোখে তাকাতে তাকাতে বিদায় নিলেন।
৩) আজকে আরেক রোগী ভর্তি দেয়ার সুযোগ হল। ডায়বেটিক + হাইপারটেন্সিভ + ওল্ড এম.আই (পুরানো হার্ট এটাক) রোগী হাইপোগ্লাইসেমিয়া (সুগার কমে যাওয়া) নিয়ে ভর্তি হয়েছে। রোগীর সাথে জনাপাঁচেক এটেনন্ডেন্ট, সবাই স্যুটেড বুটেড। রোগীকে নিয়ে এসেই সামান্য পরেই প্রশ্ন, ওয়ার্ডের বেডের চার্জ কতো আর কেবিনের ভাড়া কতো। শুনে তারা ডিসিশন দিলেন রোগীকে ওয়ার্ডে রাখা হবে। রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (২.৪মিমোল/লি) প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রোগীকে বেডে পাঠিয়ে সিস্টারকে মৌখিক অর্ডার দিয়ে রোগীর চলতি ব্যবস্থাপত্রের দিকে তাকালাম। ইন্ডিয়ার ভ্যালোরের এক মেডিকেল কলেজের একটি মেডিসিন ইউনিট থেকে ইস্যু করা হয়েছে। যথারীতি, হিস্ট্রির আর এক্সামিন্সন ফাইন্ডিংস, রিপোর্ট খুব সুন্দর করে লেখা হয়েছে। মনোযোগ দিয়ে পড়ছি দেখে পাশে দাঁড়ানো রোগীর এটেনডেন্স বলল, ওইখানের চিকিৎসাব্যবস্থা খুব ভালো। ডাক্তার ঘণ্টায় ঘণ্টায় এসে খোঁজ নিয়ে যায় রোগী কেমন আছে। রোগীর ডায়বেটিস দুই দিনে কমিয়ে দিয়েছে। হু, হু করতে করতে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে প্রেস্ক্রিপসনের পাতায় গেলাম। রোগীর ডায়বেটিসের চিকিৎসা দেখে মুখ হাঁ হয়ে গেল। ট্যাবলেট মেটফরমিন (৫০০মিগ্রা) ২+২+২ – প্রতিদিন, ট্যাবলেট গ্লিপিজাইড ৫মিগ্রা ১+০+১ – প্রতিদিন, আবার সাথে ইনজেকশন ইনসুলিন (৩০/৭০) ১৪+০+১২ ইউনিট। এরই সাথে আরো বিভিন্ন ড্রাগের সাথে কার্ডিয়াক ড্রাগ হিসাবে হাই-ডোজে নন-সিলেক্টিভ বিটা-ব্লকার। ডাক্তারী লাইনের স্বল্পজ্ঞানের মাঝেই এসব অবাক হলাম। রোগী যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া নিয়ে ঊর্ধ্বগামী হয়ে উঠেনি এটাই বরং আশ্চর্যের।
আরও আশ্চর্যের ভাবনা এলো, আমাদের দেশের কর্কশমুখের সস্তা ডাক্তারদের চিকিৎসা এড়াতে রোগীরাই লাখ টাকা খরচ করে বাইরে এই ধরনের চিকিৎসা নিতে বাইরে যান। দেশের বাইরের এই ধরনের চিকিৎসা আর ডাক্তারের বেশধারী কাউন্সিলারদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় মিষ্টিকথায়ই রোগীরা খুশী!
“মিষ্টি কথায় চিঁড়া ভিজে না” - এই বাক্য এইদেশের কিছু রোগীদের জন্য পুরোটাই ভুল প্রমানিত।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে ছোটখাট কিছু উদাহরণ…
১) ২০ বছর বয়সী এক প্রবাসী যুবক দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় হটাৎ পেটে ব্যাথা নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হবার পরে দিন দুয়েক পর তার রোগ ডায়গ্নোসিস করা হল ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিস। রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হল, ইনসুলিন দিয়ে। রোগী কিছুটা স্টেবল হওয়ার পর তাকে দ্রুত জানানো হল যে এই রোগের চিকিৎসার খরচ অনেক, দেশে ফিরে গিয়ে চিকিৎসা করালেই ভালো হবে। রোগী দেশে ফিরত আসলো, বাসায় আসার পথেই অর্ধসুস্থ রোগী আবার অনিয়মিত ইনসুলিনের কারনে আবার অসুস্থ হয়ে ডায়বেটিক হাসপাতালে ভর্তি হল। নিজের আগ্রহেই খোঁজ নিলাম, কেমন সেখানের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সহজসরল ছেলেটার কথায় যা বুঝতে পারলাম, ঐখানে রোগীদের জন্য ডাক্তারের ভাগ আছে। এদেশের রোগীদের জন্য ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এসব দেশের ডাক্তার নির্ধারিত। চিকিৎসাখাতের ব্যয়ভারবহনের গ্যারান্টি না থাকলে বুঝিয়ে শুনিয়ে রোগীকে দেশে ফিরত পাঠানো হয়। ব্যবস্থাপত্রটাও খেয়াল করলাম। রেকর্ডকিপিং এর দিক থেকে সেটাকে দশে দশ দিতে পারলেও ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে আধুনিকগাইড লাইনের কোন কিছুই ফলো করা হয়নি। ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিসের মতো মেডিকেল ইমারজেন্সিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ইনসুলিন ৩০/৭০ (শর্ট একটিং + ইন্টারমিডিয়েট একটিং ইনসুলিনের মিক্সচার) দিয়ে। ডিসচার্জের কন্ডিসনে পেসেন্টকে দেখানো হয়েছে স্টেবল। আবার পেসেন্টকে দুটো ইনসুলিন হাতে ধরিয়ে দিয়ে মুখে বলা হয়েছে খরচ বেশী দেখে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে। আমাদের গরীব দেশেও ডায়বেটিক কিটোএসিডোসিসের ট্রিটমেন্টের জন্য ইনসুলিন – আর (শর্ট এক্টিং ইনসুলিন) ব্যবহার করা হয়, যার দাম পড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। বিদেশে যদি এই চিকিৎসার জন্যই খরচ বেশী হবে বলে দেশে পেসেন্টকে পাঠিয়ে দেয়া হয়, তখন স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞবোধ করি যে মেডিকেল লাইনের ভালোমন্দ, সত্যমিথ্যে বোঝার মতো ক্ষমতাটা কিছুটা হলেও অন্তত তিনি দিয়েছেন।
২) ক্রনিক কিডনি ডিজিসের এক রোগী এসে ডাক্তাররুমে খোঁজ নিচ্ছেন ডায়ালাইসিসের খরচ কেমন পড়বে। বেশ সামান্য অঙ্কের দাম শুনে একটু ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন মেশিন ভালো কাজ করে কিনা। এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে একটু বিপাকে পড়লাম। বললাম সবার জন্যতো ভালোই কাজ করে, আপনারও হয়ে যাবে আশা করি। রোগীর সাথে আসা পাশেই দাঁড়ানো আরেক বিজ্ঞ ভদ্রলোক মাঝখান থেকে কথা বলা শুরু করলেন, “আরে আমিতো দেড়লাখ টাকা খরচ করে ইন্ডিয়া থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসলাম, ঐ চিকিৎসার সাথে এখানের চিকিৎসার তুলনা হবে নাকি আবার!” একটু বিরক্ত হয়েই জিজ্ঞেস করলাম কি চিকিৎসা দিলো। ভদ্রলোকের উত্তরে যা বুঝতে পারলাম, সেরাম ক্রিয়েটিনিন ২.৫ মিগ্রা/ডেলি এর কাছাকাছি থাকায় ইন্ডিয়ার কোন এক হাসপাতালে গিয়ে কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অনেক পরীক্ষা করিয়ে তিনি খুব ভালো চিকিৎসা পেয়েছেন। ডাক্তার তাকে উপদেশ দিয়েছেন পাতে অতিরিক্ত লবন না খেতে, মাছমাংস কম পরিমানে খেতে, প্রতিদিন ১.৫লিটারের বেশী পানি না পান করতে আর প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে। এতে তিনি খুব উপকার পেয়েছেন। অবাক হলাম, হায়রে মানুষ। এই উপদেশগুলোর মূল্য দেড়লাখ টাকা! বিদায় জানানোর সময় রোগীকে বললাম ইন্ডিয়ার ডায়ালাইসিস মেশিনগুলো খুবই ভালো হবে। ভদ্রলোক আবারো একটু সন্দেহের চোখে তাকাতে তাকাতে বিদায় নিলেন।
৩) আজকে আরেক রোগী ভর্তি দেয়ার সুযোগ হল। ডায়বেটিক + হাইপারটেন্সিভ + ওল্ড এম.আই (পুরানো হার্ট এটাক) রোগী হাইপোগ্লাইসেমিয়া (সুগার কমে যাওয়া) নিয়ে ভর্তি হয়েছে। রোগীর সাথে জনাপাঁচেক এটেনন্ডেন্ট, সবাই স্যুটেড বুটেড। রোগীকে নিয়ে এসেই সামান্য পরেই প্রশ্ন, ওয়ার্ডের বেডের চার্জ কতো আর কেবিনের ভাড়া কতো। শুনে তারা ডিসিশন দিলেন রোগীকে ওয়ার্ডে রাখা হবে। রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়ার (২.৪মিমোল/লি) প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রোগীকে বেডে পাঠিয়ে সিস্টারকে মৌখিক অর্ডার দিয়ে রোগীর চলতি ব্যবস্থাপত্রের দিকে তাকালাম। ইন্ডিয়ার ভ্যালোরের এক মেডিকেল কলেজের একটি মেডিসিন ইউনিট থেকে ইস্যু করা হয়েছে। যথারীতি, হিস্ট্রির আর এক্সামিন্সন ফাইন্ডিংস, রিপোর্ট খুব সুন্দর করে লেখা হয়েছে। মনোযোগ দিয়ে পড়ছি দেখে পাশে দাঁড়ানো রোগীর এটেনডেন্স বলল, ওইখানের চিকিৎসাব্যবস্থা খুব ভালো। ডাক্তার ঘণ্টায় ঘণ্টায় এসে খোঁজ নিয়ে যায় রোগী কেমন আছে। রোগীর ডায়বেটিস দুই দিনে কমিয়ে দিয়েছে। হু, হু করতে করতে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে প্রেস্ক্রিপসনের পাতায় গেলাম। রোগীর ডায়বেটিসের চিকিৎসা দেখে মুখ হাঁ হয়ে গেল। ট্যাবলেট মেটফরমিন (৫০০মিগ্রা) ২+২+২ – প্রতিদিন, ট্যাবলেট গ্লিপিজাইড ৫মিগ্রা ১+০+১ – প্রতিদিন, আবার সাথে ইনজেকশন ইনসুলিন (৩০/৭০) ১৪+০+১২ ইউনিট। এরই সাথে আরো বিভিন্ন ড্রাগের সাথে কার্ডিয়াক ড্রাগ হিসাবে হাই-ডোজে নন-সিলেক্টিভ বিটা-ব্লকার। ডাক্তারী লাইনের স্বল্পজ্ঞানের মাঝেই এসব অবাক হলাম। রোগী যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া নিয়ে ঊর্ধ্বগামী হয়ে উঠেনি এটাই বরং আশ্চর্যের।
আরও আশ্চর্যের ভাবনা এলো, আমাদের দেশের কর্কশমুখের সস্তা ডাক্তারদের চিকিৎসা এড়াতে রোগীরাই লাখ টাকা খরচ করে বাইরে এই ধরনের চিকিৎসা নিতে বাইরে যান। দেশের বাইরের এই ধরনের চিকিৎসা আর ডাক্তারের বেশধারী কাউন্সিলারদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় মিষ্টিকথায়ই রোগীরা খুশী!
“মিষ্টি কথায় চিঁড়া ভিজে না” - এই বাক্য এইদেশের কিছু রোগীদের জন্য পুরোটাই ভুল প্রমানিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন