গর্ভকালীন ডায়াবেটিসঃ অনেক সময় গর্ভবতী অবস্থায় প্রসূতিদের ডায়াবেটিস ধরা পরে।
এদের অনেকের প্রসবের পর ডায়াবেটিস থাকে না। এই ধরনের জটিলতা কে গর্ভকালীন
ডায়াবেটিস বলা হয়।
***বর্তমানে গর্ভকালীন সময়ের প্রথম তিন মাসের মাঝে ধরা পড়া
ডায়াবেটিসকে পূর্বের ডায়াবেটিস হিসাবে গণ্য করা হয়, এবং দ্বিতীয় এবং তৃতীয়
ট্রাইমেস্টারের ডায়াবেটিসকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (জিডিএম) বলা হয়। এই ধরনের
ডায়াবেটিক মায়ের গর্ভকালীন ঝুকি স্বাভাবিক মায়ের থেকে অনেক বেশি থাকে। ডায়াবেটিস
এই সময়ে ভাল ভাবে নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মা এবং বাচ্চা দুইজনেরই শারীরিক ঝুকির
সম্ভাবনা থাকে। এমনকি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ভাল হয়ে গেলেও পরবর্তী গর্ভ বা পরবর্তী
জীবনে পুনরায় ডায়াবেটিস হবার ঝুকি থেকে থাকে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের একমাত্র চিকিৎসা ইনসুলিন। অন্যান্য
ঔষধের গর্ভকালীন সময়ে এবং পরবর্তী জীবনে বাচ্চার শারীরিক ঝুকি নিয়ে বিশদ
তথ্যউপাত্ত এখনো পর্যন্ত না থাকায় গর্ভকালীন সময়ে ইনসুলিনই হচ্ছে ডায়াবেটিক
চিকিৎসার আদর্শ ঔষধ।
ডায়াবেটিক মহিলা যদি সন্তান ধারন করতে চান, তবে গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে অবশ্যই তাঁকে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিতে হবে। ৩-৫ মাস আগে থেকেই খাওয়ার বড়ি বাদ দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনসুলিন নিয়ে
ডায়াবেটিস উপযুক্ত পরিমানে নিয়ন্ত্রন (রক্তের HbA1c
< ৬.৫%) নিচে এনে চিকিৎসকের অনুমতি সাপেক্ষে পরিকল্পিত ভাবে
গর্ভধারন করতে হবে।
গর্ভকালীন সময়ে রক্তের সুগার খালি পেটে ৫.৩ মিমোল/লি এবং
প্রতিবেলা খাবার দুই ঘণ্টা পরে ৬.৭ মিমোল/লি এর মধ্যে রাখতে হবে। অন্যথায় শিশুর
শারীরিক বিকলাঙ্গতা সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ঝুকিসমূহঃ
·
পক্ষাঘাত/
স্ট্রোক
·
হৃদরোগ/
হার্ট এটাক
·
কিডনির
কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া
·
পায়ের
পচনশীল ক্ষত/ গ্রেংগ্রিন
·
চোখের
ভিতরে রক্তক্ষরন/ চোখের দৃষ্টি কমে যাওয়া/অন্ধত্ব
·
পাতলা
পায়খানা, চামড়ার সমস্যা, দাতের মাড়ির ইনফেকশন
·
যক্ষ্মা
·
যৌন
ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া
·
মহিলাদের
মৃত শিশুর জন্ম দেয়া
·
বাচ্চার
শারীরিক বিকলাঙ্গতা, অধিক ওজনের বাচ্চা জন্ম নেয়া
·
উচ্চ
রক্তচাপ এবং রক্তের চর্বির সমস্যা দেয়া দেয়া।










কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন